ছাগলের ব্র্যান্ডিং
আচ্ছা, কোরবানির ঈদের সময় আমরা মনে মনে সাধারণত কি ভাবি ? “এবার গরু দিব নাকি ছাগল দিব” । সেই সময় কারো সাথে কথা বলতে গেলে কি বলি? “ভাই এবার গরু দিবেন নাকি ছাগল দিবেন?” ছাগলের জায়গায় সর্বোচ্চ বলি “ভাই এবার গরু দিবেন নাকি খাসি দিবেন?”
আচ্ছা কোনদিন কি আমরা এইটা বলি যে – “ভাই এবার গরু দিবেন নাকি কাচ্চি দিবেন?”
আবার, বিরানির দোকানে আমরা বিরানি অর্ডার দেওয়ার সময় বলি-“ভাই কাচ্চি বিরানি দিয়েন” ।চাইলে তো এটাও বলতে পারি – “ভাই ছাগলের বিরানি দিয়েন”
কেন কুরবানির বেলায় এই অবলা প্রাণীটি নামে হয়ে যায় ছাগল , আর বিরানির দোকানে ডেকচীর ভিতরে হয়ে যায় কাচ্চি ???এটাই ব্র্যান্ডিং !!!ব্র্যান্ড হল এমন একটা প্যারামিটার যা একটি বিষয়কে অন্য বিষয়ের চেয়ে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত করে। আর চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়াটাই হল ব্র্যান্ডিং। কোরবানির হাটে এই চার পায়া প্রাণীটি ছাগল বা খাসী নামেই স্বীকৃতি পেয়েছে, আর বিরানির দোকানে কাচ্চি হিসেবেই …
ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং এর পাওয়ার কত বেশি তার ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। আমরা গরম লাগলে মনে মনে সাধারণত ভাবি বা বলি -“একটু কোক খাই” “একটু ফানটা খাই” বা “একটু পেপসি খাই” । আচ্ছা এই পানীয়টার কমন নাম কি? কোমল পানীয়, তাইনা ? আমরা কি এটা বলি- “ইস ! কি গরম , একটু কোমল পানীয় খাই?” বলিনা।
কোক, পেপসি বা অন্যান্য যেই কোমল পানীয়গুলো আছে , সেগুলো এত বেশি নিজেদের ব্র্যান্ড বা স্বকীয়তাকে মার্কেটিং করেছে , প্রচার করেছে যে আমরা “কোমল পানীয়” – শব্দটাই ভুলে গেছি। এটাকে আমরা ডাকি কোক ,পেপসি ইত্যাদি ব্র্যান্ড এর নামে। ব্র্যান্ডিং এর শক্তি এতটাই !!